
বাংলালিংকের বকেয়া আদায় না করে অডিট আপত্তিতে বিটিআরসি
আল-আমীন দেওয়ান : বাংলালিংকের কাছে ৪৩০ কোটি ৭২ লাখ টাকা আদায় করতে না পারায় অডিট আপত্তিতে পড়েছে বিটিআরসি।
অডিট আপত্তিতে বাংলালিংকের কাছে লেট ফি ও ইন্টারেস্ট হিসাবে ৪৩০ কোটি ৭২ লাখ টাকা পাওনা দাবি বিটিআরসির। কিন্তু বারবার পাওনা চেয়েও তা আদায় করতে পারেনি নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি।
এখন ডাক, টেলিযোগাযোগ, বিজ্ঞান, তথ্য ও প্রযুক্তি অডিট অধিদপ্তর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের অডিটে এ নিয়ে আপত্তি দিয়েছে।
বাংলালিংকের কাছে অডিট আপত্তিতে মোট পাওনা দাবি ৮২৩ কোটি ৫ লাখ ৬ হাজার ১৫৫ টাকা। এরমধ্যে বিটিআরসির পাওনা ৮১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা। যেখানে এখন সবমিলে মূল পাওনা দাঁড়িয়েছে ৩৮০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, বাকিটা লেট ফি ও ইন্টারেস্ট।
অপারেটরটি ইতোমধ্যে মূল টাকার পুরোটাই পরিশোধ করে দিয়েছে। আর লেট ফির টাকা মওকুফ চেয়ে আসছিল কোম্পানিটি।
এবার পাওনা পরিশোধে বাংলালিংককে এক মাসের সময় :
বাংলালিংকের এই লেট ফি ইস্যুতে সর্বশেষ বিটিআরসি বলেছে, লেট ফি মওকুফে টেলিযোগাযোগ আইনসহ প্রচলিত আইনে সুস্পষ্ট কোনো কিছু নেই। তবে লেট ফি ছাড়ে বাংলালিংকের আবেদনে সরকারের বিশেষ বিবেচনায় সিদ্ধান্ত হতে পারে।
এরপর অডিট অধিদপ্তর বলছে, অডিট আপত্তিতে লেট ফি হিসেবে পাওনা ৪৩০ কোটি ৭২ লাখ টাকা আদায় না করায় সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এখন বিটিআরসি বলছে, অডিট আপত্তি এবং সরকারের রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে এই টাকা আদায় করতে হবে।
এরপর বিটিআরসি এই পাওনা পরিশোধে বাংলালিংককে ১ মাস সময় দিচ্ছে।
_1749354993.jpg)
কী বলছে বাংলালিংক :
বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান টেকশহর ডটকমকে জানান, ‘আমরা এখনও বিটিআরসি হতে কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি পাইনি। নিয়ম মেনে চলা অপারেটর হিসেবে বাংলালিংক সবসময়ই নিয়ন্ত্রক সংস্থার সব নির্দেশনা মানতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
‘অডিট ইস্যুটি গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের জন্য আমরা শুরু থেকেই আগ্রহ প্রকাশ করে আসছি। আমরা বিশ্বাস করি, বিটিআরসি বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছাবে।’ বলেন তিনি।
মন্তব্য করুন
Your email address will not be published.