13th national election_1751706870.jpg

১৩ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে? সম্ভাব্য সময়, সংস্কার ও প্রস্তুতি ২০২৫–২৬

ইউনুস সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে—নির্বাচনের আগে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংস্কার সম্পন্ন করা হবে, যাতে আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় স্বচ্ছ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য। এ বিষয়ে ২০২৫ সালের মে মাসে এবং পরবর্তী সময়ে জুন ও জুলাই ২০২৫-এ একাধিক সরকারি বক্তব্য, সংবাদ সম্মেলন ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

২০২৫ সালের ১২ জুন, ব্রিটিশ পত্রিকা The Guardian-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন:

“আমরা জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী একটি অন্তরর্তভুক্ত সরকার চাই। সেই কারণে সংস্কার ছাড়া নির্বাচন অর্থহীন। আমরা নিশ্চিত করতে চাই, কারচুপির কোনো সুযোগ থাকবে না।”

এর আগে, ২৩ মে ২০২৫, Reuters–কে দেওয়া বিবৃতিতে ইউনুস সরকার জানায়:

“সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে, পুরনো ব্যবস্থার সমস্যাগুলো আবার ফিরে আসবে। আমরা চাই সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে নির্বাচন আয়োজন করতে।”

এছাড়া, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও জানানো হয় যে, তারা সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিবেচনায় নিয়ে ২০২6 সালের প্রথমভাগে (এপ্রিল–জুন) নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাব্য সময় হিসেব করছে। ইসি চায়, যেন সংবিধান, নির্বাচনী আইন, ভোটার তালিকা, আচরণবিধি ও প্রবাসী ভোটার পদ্ধতি—সবকিছু পর্যালোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করা যায়।

সারসংক্ষেপে বলা যায়, ইউনুস সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট: সংস্কার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন নয়, এবং এই সংস্কার ২০২৫ সালের শেষ ভাগ পর্যন্ত চলবে বলে তারা বিভিন্ন সময়সূচিতে জানিয়েছে। এর ফলে নির্বাচন হতে পারে ২০২৬ সালের প্রথম ছয় মাসে, তবে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরেও সম্ভাবনা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে, যদি প্রধান সংস্কারগুলো সম্পন্ন হয়।

বাংলাদেশে ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ এখনও চূড়ান্তভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তবে বিভিন্ন সরকারী সূত্র অনুযায়ী সময়সীমা নির্ধারিত হয়েছে:

নির্বাচনের প্রস্তুতি ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশে ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে এগুলো বাস্তবায়নের গতি এখনো সীমিত — নিচে বিস্তারিত আলোচনা পাওয়া যাচ্ছে:

🛠️ ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনঃ মূল সংস্কার উদ্যোগসমূহ

১. ইলেক্টরাল রিফর্ম কমিশনের সুপারিশ

  • আগস্ট ২০২৪–এ গঠিত এই কমিশন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে:
  • ইভিএম (EVM) বাতিল
  • ‘নো ভোট’ অপশন পুনঃপ্রবর্তন
  • রেফারেন্ডাম ও নির্বাচিত এমপিকে প্রত্যাহার (recall) সুবিধা
  • সাংবিধানিক সংস্কার, সাংসদের মেয়াদকালের সীমা ইত্যাদি ।

২. নোমিনেশন ও আচরণবিধিতে নিয়ন্ত্রণ

  • ইসিতে প্রস্তাব নেওয়া হচ্ছে RPO ও আচরণবিধি সংশোধন:
  • লোন ডিফল্ট বা মিথ্যা ঘোষণাপত্র জমা দেওয়ার দায়বোধ
  • সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত প্রচারণায় বিধি এবং শাস্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি ।

৩. ইসি-নির্বাচন কমিশন নিজস্ব সংস্কার

  • Chief Election Commissioner জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে ইসি নিজের আওতায় থাকা বিষয়গুলো দ্রুত সংস্কার করবে, যেমন–ব্যবস্থাপনা, মনোনয়ন ও পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা তৈরি করা ।

৪. নাগরিক ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যাশা ও চাপ

  • জনগণ ও সংগঠন (যেমন NCP, Jamaat-e-Islami) নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার না হলে ভোটে অংশ নেবেন না বলে অবস্থান নিয়েছে ।

 

কী গুনগত অগ্রগতি হয়েছে & প্রতিবন্ধকতা

  • EC–এর প্রাথমিক সংস্কার পরিকল্পনা জুন–জুলাইতে তৈরি করা হবে বলে জানানো হয়েছে ।
  • তবে ইসি কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের বিরোধিতা করেছে, যেমন– Delimitation (সীমানা নির্ধারণ), ইসি-পরিচালকদের তদন্তযোগ্যতা ইত্যাদি ।
  • রাজনীতিক নেতাদের মধ্যে সম্মতিও এখনও সীমিত: বিএনপি ও সেনা প্রধান ডিসেম্বর যখন নির্বাচন চান, প্রধান উপদেষ্টার চাওয়া “সংস্কারের সময় দরকার” এক্ষেত্রে অমিল আছে ।

সারাংশ:

  • ইভিএম বাতিল ও নো‑ভোট রক্ষণ – ইতিমধ্যেই প্রস্তাবিত উঠেছে।
  • Nomination affidavit ও আচরণবিধির কঠোরীকরণ – আইসিতে কাজ চলছে।
  • মনোনয়ন ও ইসি কাঠামো – বিচারাধীন, কিছুতে ইসি রাজি নয়।
  • নাগরিক ও দলীয় চাপ – সংস্কার না হলে ভোট প্রয়োজান চিন্তায় কিছু দল।

 

ইউনুস সরকারের অধীনে সংস্কার কার্যক্রম:

ইউনুস প্রধান উপদেষ্টা ও ইন্টারিম সরকারের অধীনে বিভিন্ন সেক্টরে যে সংস্কার কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে, তা বিস্তারিতভাবে নিচে তুলে ধরা হলো:

১. ৬টি মূল রিফর্ম কমিশন গঠন (সেপ্টেম্বর ২০২৪)

  1. ভোট ব্যবস্থার সংস্কার
  2. পুলিশ প্রশাসন সংস্কার
  3. বিচার বিভাগ সংস্কার
  4. দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার
  5. সরকারি প্রশাসন সংস্কার
  6. Constitutional(সংবিধান) সংস্কার

প্রতি কমিশনে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন বিশিষ্ট নাগরিক ও সংশ্লিষ্ট খাতের বিশ্লেষক।

২. আরও ৬টি সম্প্রসারিত কমিশন (অক্টোবর–ডিসেম্বর ২০২৪)

  • স্বাস্থ্য ব্যবস্থা
  • মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যম
  • শ্রম অধিকার
  • নারী–মহিলা অধিকার
  • স্থানীয় সরকার
  • জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন
  • এই কমিশনগুলোর উদ্দেশ্য ছিল নির্দিষ্ট সেক্টরের মধ্যে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

৩. ভোটার রেজিস্ট্রি ও প্রবাসী ভোটার ব্যবস্থা সংস্কার 

  • নির্বাচন কমিশন গঠন
  • ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রবাসীদের জন্য পোস্টাল বোটের সুযোগ
  • ইভিএম বাতিল (প্রস্তাবিত)

৪. আইনশৃঙ্খলা ও পুলিশ প্রশাসন সংস্কার

  • কার্যবহুল পুলিশ প্রশাসন নিশ্চিত করতে স্ট্রাইক সমাপ্ত, অস্ত্র ও গোলাবারুদের উদ্বার, নিয়মিত রুটিন প্যাট্রোল, সহ রেজিমিন্টাল ব্যবস্থা গঠন reuters.com

৫. ন্যায়-বিচার ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কার

  • বিচার বিভাগে নতুন বিচারপতি নিয়োগ
  • উচ্চ আদালতে বিচার স্থিতাবস্থা পুনরুদ্ধারে অবদান ।

৬. দুর্নীতি দমন ও আর্থিক প্রতিবেদন ব্যবস্থা

  • ACC সংস্কার
  • ৫০+ প্রাক্তন মন্ত্রী ও এমপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজ ও দুর্নীতির মামলা
  • ব্যাংকিংখাতে রেবুক কমিটি গঠন; অপরাধী প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্বিন্যাস ।

৭. সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক সংস্কার

  • সংstitutional Reform Commission গঠনের মাধ্যমে জাতীয় সংবিধান পুনর্বিবেচনার উদ্যোগ
  • National Constitutional Council গঠন পরিকল্পনা ।

৮. মিডিয়া ও স্বাধীন মত প্রকাশের নিশ্চয়তা

  • সাইবার আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের রূঢ় ব্যবহারে শর্ত সংযোজন
  • তথ্যের স্বাধীনতা ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার হয়েছে ।

৯. অপারেটিভ প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার সংস্কার

  • সরকারি কর্মকর্তা ও উপদেষ্টা পদে সম্প্রসারণ, স্থানান্তর ও অবসর ব্যবস্থা সম্পাদন
  • ইউনিয়ন ও পৌরসভার ক্ষমতা পুনর্বিন্যাস ।

 

ইউনুস সরকারের অধীনে এখন পর্যন্ত মোট ১৫টি কমিশন গঠন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে নির্বাচন, বিচার, পুলিশ প্রশাসন, দুর্নীতি, স্বাস্থ্য, মিডিয়া, মহিলা অধিকার, স্থানীয় সরকার ও সংবিধান—all ক্ষেত্রে বিস্তূত সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে এটি একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও পরিবেশবান্ধব রাষ্ট্র ব্যবস্থার পথ প্রশস্ত করবে

 

সংস্কার অগ্রগতি শুরু হয়েছে – বিশেষ করে EVM বাতিল, বাজেটিয় পরিদর্শন, আচরণবিধির সংস্কার—ও এগুলো নিয়ে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্তরে আলোচনাও হচ্ছে। তবে চূড়ান্ত বাস্তবায়ন এখনও পথের মধ্যেই এবং রাজনৈতিক সহমত অস্বচ্ছ। নির্বাচনের নির্ধারিত সময় হওয়া এবং তা স্বতন্ত্র, মুক্ত ও গ্রহণযোগ্য করতে হলে এই সংস্কারগুলো দ্রুত পূর্ণ ও কার্যকর করার প্রয়োজন রয়েছে।

 

সংস্কার শেষে ১৩ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই সম্পর্কে অন্যান্য জাতীয় দলের নেতারা কি বলেছে

সংস্কার শেষ না করে নির্বাচন আয়োজনের বিপক্ষে মত দিয়েছে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও জোট। তারা মনে করে, আগের নির্বাচনের মতো অনিয়ম ও বিতর্ক এড়াতে হলে আদর্শ নির্বাচন আয়োজনের পূর্বশর্ত হিসেবে রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক সংস্কার অবশ্যই প্রয়োজন। ইউনুস সরকারের সংস্কার কর্মসূচিকে অনেকেই ইতিবাচকভাবে দেখলেও, নির্বাচন নিয়ে এখনো সন্দেহ প্রকাশ করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।

বিএনপি, গণফোরাম, জামায়াতে ইসলামি, বাম মোর্চা, এবং জাতীয়তাবাদী ঐক্যজোটের মতো দলগুলো খোলাখুলিভাবে জানিয়েছে যে, যতক্ষণ না একটি গ্রহণযোগ্য ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হচ্ছে, ততক্ষণ তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন,

“এটা একটা ভিন্ন ধরনের সরকার। তারা যদি সত্যি সংস্কার করতে চায়, তাহলে দলীয় প্রভাবমুক্ত প্রশাসন ও সংবিধান সংস্কারের মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ তৈরি করুক।”

অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের কিছু জ্যেষ্ঠ নেতা শুরুতে দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে থাকলেও, ইউনুস সরকারের উদ্যোগে গঠিত রোডম্যাপের প্রতি আস্থা রেখে তারা এখন অপেক্ষাকৃত সংযত বক্তব্য দিচ্ছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন,

“যদি এই সরকারের অধীনে শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয় এবং তা দেশের জন্য মঙ্গলজনক হয়, তাহলে আমরাও সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত।”

জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কিছু সংস্কারকে স্বাগত জানিয়েছে, বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও ইভিএম বাতিলের প্রস্তাবকে। তবে তারা চায় সময় নষ্ট না করে দ্রুত নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হোক।

সব মিলিয়ে বলা যায়, রাজনৈতিক দলগুলোর একটি বড় অংশ সংস্কার-নির্ভর নির্বাচনকে সমর্থন করছে। তবে তাদের প্রধান শর্ত হলো—এই সংস্কার প্রক্রিয়া যেন শুধুমাত্র “দর্শনগত বা আলাপচারিতামূলক” না হয়ে বাস্তবিক কার্যকর হয় এবং সকল অংশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজন করা হয়।

 

📅 ১৩ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে? প্রত্যাশিত সময়সীমা

ডা. মুহাম্মদ ইউনূস, সরকারের উপদেষ্টা, বলেছেন যে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন হবে ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে

এছাড়াও, তিনি উল্লেখ করেছেন যে নির্বাচন হতে পারে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে অথবা ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে, নির্বাচন কমিশন তদনুযায়ী রোডম্যাপ প্রকাশ করবে ।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি

  • প্রধান নির্বাচন কমিশনার AMM নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন যে চূড়ান্ত সময়সূচি যথাসময়ে ঘোষণা করা হবে newagebd.net
  • নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে—ভোটার তালিকা, ভোটার চিত্র, ভোটকেন্দ্র, কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি নিয়ে কাজ চলছে ।

 

জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে? সারসংক্ষেপ:

দিকতথ্য
নির্ধারিত সময়প্রথমার্ধে এপ্রিল ২০২৬
বিকল্প সময়সীমাডিসেম্বর ২০২৫ – জুন ২০২৬
রোডম্যাপ ঘোষণানির্বাচন কমিশনের দ্বারা

১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত নির্ধারিত তারিখ এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পরবর্তী সরকার একাধিক বার সময়সীমা প্রকাশ করেছে—ডিসেম্বর ২০২৫ বা এপ্রিল–জুন ২০২৬—তারই মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের বিস্তারিত সময়সূচি আগাম ঘোষণা করা হবে।

 

13th জাতীয় সংসদ নির্বাচন – প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)

❓ ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হতে পারে?

উত্তর: বর্তমানে নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা না হলেও, নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ অনুযায়ী ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুন সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে সরকারের শর্ত হলো—সংস্কার শেষে তবেই নির্বাচন।

❓ নির্বাচন ২০২৫ সালেই হবে, নাকি পিছিয়ে ২০২৬?

উত্তর: ইউনুস সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। সেই ভিত্তিতে, ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে, সংস্কার দ্রুত শেষ হলে ২০২৫ সালের শেষের দিকেও নির্বাচন হতে পারে

❓ নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য কী?

উত্তর: নির্বাচন কমিশন (EC) জানিয়েছে, তারা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সম্ভাব্য সময় হিসেবে ২০২৬-এর প্রথমভাগকে টার্গেট করা হয়েছে।

❓ সংস্কার শেষে নির্বাচন হবে মানে কী?

উত্তর: এর অর্থ হলো, ভোটার তালিকা, নির্বাচন পদ্ধতি, প্রশাসন, আইন, সংবিধান ও প্রবাসী ভোটারসহ বিভিন্ন খাতে যেসব সংস্কার চলমান রয়েছে, সেগুলোর অগ্রগতি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন ঘোষণা করা হবে না।

❓ কোন কোন দল সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলেছে?

উত্তর: বিএনপি, গণফোরাম, জামায়াতে ইসলামি, বাম মোর্চাসহ বেশ কয়েকটি দল জানিয়েছে, যদি “সুষ্ঠু সংস্কার” ছাড়া নির্বাচন হয়, তারা অংশ নেবে না। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ অপেক্ষাকৃত নমনীয় অবস্থানে রয়েছে।