
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬: সংস্কার, প্রস্তুতি ও অন্যান্য দলগুলোর অবস্থান
নতুন তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা না করা হলেও সময়সীমা ও প্রস্তুতি নিয়ে পরিষ্কার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পরেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
২০২৫ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত ১৫টিরও বেশি রকমের রিফর্ম কমিশন কাজ করছে—যেমন নির্বাচন কমিশন শক্তিশালীকরণ, বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা, দুর্নীতি দমন কমিশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রবাসী ভোটার অন্তর্ভুক্তি, রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি। এই সংস্কারগুলোর বেশিরভাগেরই খসড়া সুপারিশ ইতোমধ্যেই জমা পড়েছে এবং গণপর্যালোচনার মাধ্যমে সেগুলোর চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার কাজ চলছে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুন সময়সীমার মধ্যে একটি সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা হালনাগাদ, ভোটকেন্দ্র উন্নয়ন, প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনায় অগ্রগতি হচ্ছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যেমন বিএনপি, গণফোরাম, বাম জোটসহ অনেকেই বলছে, তারা নির্বাচনে অংশ নেবে যদি নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কার বাস্তবায়ন হয়। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগও নমনীয় অবস্থানে থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তবে তারা সংস্কার প্রক্রিয়ার ধীরগতিতে কিছুটা উদ্বিগ্ন।
সব মিলিয়ে, যদি পরিকল্পনামাফিক সংস্কারগুলো ২০২৫ সালের মধ্যভাগে সম্পন্ন হয়, তাহলে ২০২৬ সালের প্রথম ছয় মাসেই (জানুয়ারি–জুন) জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এটি হবে একটি ট্রানজিশনাল নির্বাচন, যেখানে দীর্ঘ সময়ের পর অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন ফিরতে পারে।
এই নির্বাচনকে ঘিরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে আগ্রহ, পর্যবেক্ষণ এবং মূল্যায়নের মাত্রাও অনেক বেশি। এটি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচনের সুযোগ হতে পারে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬–এর আগে মূল সংস্কারসমূহ
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ এর আগে যেসব মূল সংস্কার ইউনুস সরকারের অধীনে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, সেগুলো দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সুষ্ঠু নির্বাচন, এবং সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে নির্বাচনের আগে বাস্তবায়নযোগ্য মূল ১০টি সংস্কার সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা হলো:
১. 🗳️ নির্বাচন কমিশন সংস্কার
- ইসির স্বাধীনতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ
- কমিশনার নিয়োগ পদ্ধতিতে রাজনৈতিক প্রভাব হ্রাস
- ইভিএম (EVM) বাতিলের প্রস্তাব ও ব্যালট পদ্ধতির উন্নয়ন
- আচরণবিধি লঙ্ঘনে শাস্তির বিধান কঠোরকরণ
২. 📃 সংবিধান সংস্কার (Constitutional Reform)
- নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থা (তত্ত্বাবধায়ক বিকল্প)
- প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা সীমিতকরণ ও মেয়াদ নির্ধারণ
- প্রেসিডেন্টের ভূমিকা আংশিক ভারসাম্যপূর্ণ করা
- নাগরিকের “Recall Right” ও গণভোট (Referendum) সংযোজনের প্রস্তাব
৩. ⚖️ বিচার বিভাগ সংস্কার
- উচ্চ ও নিম্ন আদালতের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা
- বিচারপতি নিয়োগে স্বচ্ছতা ও সংসদীয় প্রভাব হ্রাস
- দুর্নীতি ও মামলার দীর্ঘসূত্রতা দূরীকরণ
৪. 👮 পুলিশ ও প্রশাসনিক সংস্কার
- রাজনৈতিক নিপীড়ন, গ্রেপ্তার ও হয়রানিমূলক মামলা বন্ধে বিধি
- পুলিশ নিয়োগ ও বদলিতে স্বচ্ছতা
- জনগণের কাছে জবাবদিহিতার নিশ্চয়তা
৫. 💰 দুর্নীতি দমন কমিশন (ACC) সংস্কার
- কমিশনের স্বাধীনতা ও ক্ষমতা বাড়ানো
- রাজনৈতিক দুর্নীতির বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল
- পুরনো দুর্নীতি মামলার তদন্ত পুনরায় খোলা
৬. 🧑💼 প্রশাসন ও আমলাতন্ত্র সংস্কার
- দলীয় নিয়োগ বন্ধে বিধান
- মেধা ও অভিজ্ঞতা ভিত্তিক পদোন্নতি
- প্রশাসনে দলনিরপেক্ষ নীতি নিশ্চিতকরণ
৭. 📰 মিডিয়া ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কার
- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (DSA) সংশোধন
- সাংবাদিক স্বাধীনতা রক্ষা
- রাষ্ট্রবিরোধী নয়, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বজায় রাখা
৮. 🌐 প্রবাসী ভোটার ও অনলাইন ভোট ব্যবস্থা
- পোস্টাল ভোট ও দূতাবাসভিত্তিক প্রবাসী ভোটার তালিকা হালনাগাদ
- অনলাইন ভোট যাচাইকরণ পদ্ধতির উন্নয়ন
৯. 🧑🤝🧑 রাজনৈতিক দল নিবন্ধন ও অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র
- দলীয় গঠনতন্ত্র ও আর্থিক হিসাব স্বচ্ছ রাখা বাধ্যতামূলক
- দলের মধ্যে নির্বাচনের সংস্কৃতি চালু করা
১০. 🏙️ স্থানীয় সরকার ও বিকেন্দ্রীকরণ
- পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রশাসনিক ক্ষমতা হস্তান্তর
- বাজেট ও প্রকল্প গ্রহণে স্থানীয় প্রতিনিধিদের মতামত বাধ্যতামূলক করা
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ প্রস্তুতি
২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে প্রস্তুতি পর্ব এখন পুরোদমে চলছে। নির্বাচন আয়োজনের জন্য একদিকে যেমন প্রশাসনিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে, অন্যদিকে চলছে রাজনৈতিক সংস্কার ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার উদ্যোগ। নির্বাচন কমিশন (EC) ইতোমধ্যেই একটি প্রাথমিক রোডম্যাপ তৈরি করেছে, যেখানে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, ভোটকেন্দ্র উন্নয়ন, ইভিএম বাতিল বা সীমিত ব্যবহার, প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচন আয়োজনের আগে প্রয়োজনীয় সংবিধান, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন ও বিচার বিভাগের সংস্কার শেষ করতে হবে। এ লক্ষ্যে ১৫টিরও বেশি সংস্কার কমিশন কাজ করছে। কিছু কমিশন ইতোমধ্যে প্রাথমিক সুপারিশ জমা দিয়েছে, এবং গণশুনানির মাধ্যমে চূড়ান্ত করার কাজ চলছে।
এদিকে বিদেশি পর্যবেক্ষক দল ও উন্নয়ন সহযোগীরাও নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, নির্বাচন যেন স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য হয়, যাতে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা পায়।
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথেও নির্বাচনী সংলাপ ও আস্থার পরিবেশ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে ইউনুস সরকার। সব মিলিয়ে ২০২৬ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা, রাজনৈতিক পরিবেশ ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় একটি অন্তর্নিহিত রূপান্তর ঘটানোর প্রস্তুতি চলছে, যা দীর্ঘমেয়াদে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান
২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অবস্থান অনেকটাই ভিন্ন, তবে একটি বিষয়ে তারা একমত—নির্বাচনকে অবশ্যই সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। চলমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং সংস্কার প্রক্রিয়ার আলোকেই দলগুলো নিজেদের কৌশল নির্ধারণ করছে। নিচে বড় দলগুলোর বর্তমান অবস্থান বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো:
১.বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)
অবস্থান:
বিএনপি স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছে, তারা সংস্কার ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের নিশ্চয়তা ব্যতীত নির্বাচনে অংশ নেবে না।
তাদের দাবি:
দলীয় সরকারের অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক ধাঁচের সরকার হতে হবে
নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে
ভুয়া মামলা প্রত্যাহার ও রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে
উল্লেখযোগ্য মন্তব্য: মির্জা ফখরুলের নির্বাচনী অবস্থান সম্পর্কে বক্তৃতাগুলো
২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে তিনি বলেছেন:
“BNP has never said reforms should come only after elections… We insisted that minimum reforms must be implemented first to ensure fair and acceptable elections.” dhakatribune
এ মন্তব্যে তিনি স্পষ্ট করেন, তারা নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সংস্কার দরকারই, এবং “elections first, reforms later” নীতি তারা কখনো সমর্থন করেনি।
১৬ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে নির্বাচনকালীন রোডম্যাপ না হলে নির্বাচন ডিসেম্বর ২০২৫–জুন ২০২৬ সময়ের মধ্যে না হলে “দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি বিনষ্ট হয়ে যাবে” — এমন স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন tbsnews।
২ মে ২০২৫ তারিখে বলেছেন:
“ভোটার তালিকা বা বয়স নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে নির্বাচন বিলম্ব করা হচ্ছে” এবং “সরকার যদি ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা না করে, তাহলে জনগণের আক্রোশ বাড়বে” ।
২.আওয়ামী লীগ
অবস্থান:
আওয়ামী লীগ প্রথমদিকে তড়িঘড়ি নির্বাচন চাইলেও বর্তমানে তারা অপেক্ষাকৃত সংযত অবস্থানে রয়েছে। তারা বলছে—
নির্বাচন যত দ্রুত সম্ভব হওয়া উচিত
তারা সংস্কারের বিরোধিতা করছে না, তবে সীমাহীন বিলম্বও চায় না
উল্লেখযোগ্য বক্তব্য:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন:
“আমরা আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনে যাবো। কিন্তু সংস্কারের নামে দীর্ঘসূত্রতা হলে সেটিও গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়।”
৩.জাতীয় পার্টি (জাপা)
অবস্থান:
জাতীয় পার্টি (জিএম কাদেরের নেতৃত্বে) অনেকটা মধ্যমপন্থী অবস্থান নিয়েছে। তারা বলছে:
- অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দরকার
- নির্বাচনকালীন সরকার বা নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা থাকলে তারা নির্বাচনে যাবে
- তারা ক্ষমতার ভারসাম্য সংক্রান্ত কিছু সাংবিধানিক সংস্কারকে সমর্থন করেছে।
৪.ইসলামী দলসমূহ (জামায়াতে ইসলামি, ইসলামী আন্দোলন, ইত্যাদি)
- অবস্থান:
জামায়াতে ইসলামি ও অন্যান্য ইসলামী দলগুলো বলছে— - আগের মত কারচুপি হলে তারা নির্বাচন বর্জন করবে
- নিরপেক্ষ ভোটপ্রক্রিয়া ও ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার গ্যারান্টি চাই
- তারা প্রবাসী ভোটার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কার, এবং স্থানীয় সরকার ক্ষমতায়নের পক্ষে।
৫.বাম গণতান্ত্রিক জোট ও নাগরিক জোটসমূহ
অবস্থান:
এরা ইউনুস সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়াকে সমর্থন করছে, কিন্তু সতর্ক করছে যেন ক্ষমতার ভারসাম্য, গণঅধিকার ও শ্রমিকস্বার্থ রক্ষা করা হয়।
তারা চায়:
- গণশুনানি ভিত্তিক নীতি
- দুর্নীতি বিরোধী কমিশনের শক্তিশালী ভূমিকা
- নির্বাচন কমিশন গঠনে জনগণের অংশগ্রহণ
২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে উপরোক্ত সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য, প্রতিযোগিতামূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পরিবেশ তৈরি হবে। এসব সংস্কার শুধুই নির্বাচনকে সুষ্ঠু করা নয়, বরং সারা দেশের গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে টেকসই করার এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
বিস্তারিত পড়ুনঃ
মেট্রোরেলের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা ২০২৫। ঢাকা মেট্রোরেল স্টেশন ও ভাড়া বিস্তারিত
প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলি (FAQ)
❓ ২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হতে পারে?
উত্তর: নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ অনুযায়ী, সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন হলে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুন সময়সীমার মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
❓ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে কি সংস্কার সম্পন্ন হবে?
উত্তর: হ্যাঁ, ইউনুস সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী সংবিধান, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, ও মিডিয়াসহ অন্তত ১০টিরও বেশি খাতে সংস্কার সম্পন্ন করার পরেই নির্বাচন আয়োজনের কথা বলা হয়েছে।
❓ বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলের অবস্থান কী?
উত্তর: বিএনপি ও অনেক বিরোধী দল নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার, দলীয় প্রভাবমুক্ত প্রশাসন, এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশনের দাবি জানিয়ে এসেছে। তারা স্পষ্ট বলেছে, সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না।
❓ আওয়ামী লীগের অবস্থান কী?
উত্তর: আওয়ামী লীগ বলছে, তারা সংস্কারের পক্ষে, তবে অযথা নির্বাচন বিলম্ব চায় না। তারা একটি অংশগ্রহণমূলক ও সংবিধানসম্মত নির্বাচন চায়।
❓ ইউনুস সরকারের অধীনে কি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা হবে?
উত্তর: প্রথাগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, তবে ইউনুস সরকার একটি নিরপেক্ষ ও সংস্কারভিত্তিক নির্বাচনকালীন সরকারের বিকল্প হিসেবে কাজ করছে। এ নিয়ে সংলাপ ও আলোচনা চলছে।
❓ ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি কেমন?
উত্তর: ভোটার তালিকা হালনাগাদ, ইসি রোডম্যাপ প্রস্তুত, রিফর্ম কমিশনের খসড়া প্রস্তাব জমা হয়েছে। নির্বাচন আয়োজনের প্রাথমিক প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন
Your email address will not be published.