bangladesh education situation_1750742758.jpg

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা: অতীত বনাম বর্তমান ২০২৫

 বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা: অতীত বনাম বর্তমান ২০২৫


বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা গত কয়েক দশকে বিভিন্ন পর্যায়ে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকে শুরু করে ২০০০ সালের আগ পর্যন্ত শিক্ষার মূল লক্ষ্য ছিল সাক্ষরতা বৃদ্ধি ও প্রাথমিক শিক্ষায় প্রবেশাধিকারের বিস্তার। যদিও প্রাথমিক শিক্ষায় ভর্তির হার বেড়েছিল, তবে মানসম্মত শিক্ষা তখনও ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ। শিক্ষকসংকট, শ্রেণিকক্ষে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী, এবং পাঠ্যবইয়ের স্বল্পতা ছিল সাধারণ সমস্যা। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে লেখাপড়া মূলত মুখস্থনির্ভর এবং বোর্ড পরীক্ষায় জিপিএ অর্জনকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে। এর ফলে সৃজনশীল চিন্তা ও বাস্তবজ্ঞান গড়ে ওঠেনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তির আগমন এবং আন্তর্জাতিক চাহিদার ভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থায় কিছু সংস্কার দেখা দেয়। ২০১০ সালের পর থেকে “সৃজনশীল পদ্ধতি” চালু হয়, যেখানে প্রশ্নপত্র ও শিক্ষাদান পদ্ধতিতে বিশ্লেষণমূলক ও চিন্তনভিত্তিক প্রশ্নের ব্যবহার শুরু হয়। তবে শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও বাস্তবায়নের অভাবে এটি অনেক জায়গায় ফলপ্রসূ হয়নি। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ ও হালনাগাদ শিক্ষানীতি ২০২০ এর মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা এবং মাদ্রাসা শিক্ষায় নতুন কিছু ধারা যুক্ত হয়। এরপর ২০২৩-২৪ সালে নতুন কারিকুলাম পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়, যেখানে পরীক্ষার চাপ কমিয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন (formative assessment) চালু হয় এবং পাঠ্যবইতে বাস্তবমুখী বিষয়বস্তুর উপর জোর দেওয়া হয়।

২০২৫ সালে এসে শিক্ষাব্যবস্থায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের স্কুলে উপস্থিতির হার বেড়েছে, তেমনি ডিজিটাল শিক্ষার প্রসার ঘটেছে। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে হাজার হাজার স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু হয়েছে, এবং শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তিভিত্তিক অ্যাপ ও অনলাইন ক্লাসে অংশ নিচ্ছে। কোভিড-পরবর্তী সময়ে ই-লার্নিং, Google Classroom, YouTube Tutorial ও ফেসবুক লাইভ ক্লাস একটি নতুন শিক্ষার ধারা তৈরি করে দিয়েছে, যা আজ ২০২৫ সালে আরও বেশি বিস্তৃত হয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ২০২৩ সালের নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের কাজ ২০২৫ সালেও ধাপে ধাপে চালিয়ে যাচ্ছে, যেখানে শ্রেণিকক্ষে শিখনমূল্যায়ন, জীবনের জন্য শিক্ষা, নৈতিকতা, পরিবেশ সচেতনতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

তবে সমস্যা এখনও শেষ হয়নি। একদিকে যেমন নতুন পদ্ধতির পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের চিন্তাশক্তি বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে কিছু জায়গায় শিক্ষকরা নতুন পদ্ধতিতে মানিয়ে নিতে পারছেন না। শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাব, অতিরিক্ত কাজের চাপ, এবং প্রশাসনিক জটিলতা অনেক সময় নতুন শিক্ষানীতিকে বাস্তবায়নে বাধা তৈরি করছে। এছাড়া ডিজিটাল বিভাজন (digital divide) এখনো বাংলাদেশের গ্রামের শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির বাইরে রেখে দিচ্ছে, যা শিক্ষার বৈষম্যকে আরও প্রকট করছে।

এছাড়া, একটি বড় পরিবর্তন হলো মাধ্যমিক পর্যায়ে পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ২০২৫ থেকে নতুন প্রশ্ন কাঠামোতে শুধু চূড়ান্ত পরীক্ষা নয়, বরং বার্ষিক ফর্মেটিভ মূল্যায়ন ও কোর্সওয়ার্ক–এর মূল্যায়ন যুক্ত করার কাজ চলছে। শিক্ষার্থীদের চাপ কমিয়ে বাস্তবভিত্তিক শিখন অর্জনের দিকেই মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে।

সবমিলিয়ে বলা যায়, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আজ ২০২৫ সালে এসে ধীরে ধীরে মুখস্থ নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা ভিত্তিক শিক্ষার দিকে অগ্রসর হচ্ছে, তবে এখনো দীর্ঘ পথ বাকি। নীতি গ্রহণে অগ্রগতি হলেও বাস্তবায়নে নজরদারি, শিক্ষক উন্নয়ন, প্রযুক্তি সহজলভ্যতা এবং মানসম্পন্ন উপকরণের ঘাটতি পূরণ করতেই হবে—নইলে এই রূপান্তর দীর্ঘস্থায়ী হবে না।

শিক্ষা একটি জাতির মেরুদণ্ড। কিন্তু এই মেরুদণ্ড যদি দুর্বল হয়, তাহলে জাতির অগ্রগতি থমকে যায়। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা গত কয়েক বছরে কিছু অগ্রগতি করলেও এখনো রয়েছে নানা চ্যালেঞ্জ ও অনিয়ম। বিশেষ করে প্রশ্নপত্র ফাঁস, দুর্নীতি, মানহীন শিক্ষা এবং শহর-গ্রাম বৈষম্য এখনো বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে আছে।

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা নিয়ে আলোচনা করলে দেখা যায়, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল বিষয়। গত কয়েক বছরে অনেক অগ্রগতি হলেও, কিছু গুরুতর সমস্যা এখনো বিরাজমান — যার মধ্যে প্রশ্ন ফাঁস, দুর্নীতি, এবং মানসম্মত শিক্ষা ঘাটতি অন্যতম। নিচে বিগত কয়েক বছরের বাস্তবচিত্র তুলে ধরা হলো:

 

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সামগ্রিক অবস্থা

✅ ইতিবাচক দিকসমূহ:

সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা:
বাংলাদেশে প্রায় ৯৭% শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। “একটি বাড়ি, একটি স্কুলগামী শিশু” কর্মসূচি অনেকাংশে সফল হয়েছে।

মেয়েদের শিক্ষায় অগ্রগতি:
মেয়েদের স্কুলে ভর্তির হার ছেলেদের চেয়েও বেড়েছে। অনেক এলাকায় মেয়েরা এখন উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত যাচ্ছে।

ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রম:
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম চালু হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে টিভি ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাঠদান হয়েছে।

 

সমস্যাগুলো ও অনিয়ম (বিশেষত বিগত কয়েক বছরে)

১. প্রশ্নপত্র ফাঁস (২০১২-২০১৮):

ভয়াবহ সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চমাধ্যমিক এবং এমনকি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা পর্যন্ত প্রশ্ন ফাঁস হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগের রাতেই প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়ত।

ছাত্র-অভিভাবকরা আতঙ্কিত ছিল, প্রকৃত মেধাবীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে।

২. ঘুষ ও দুর্নীতি:

সরকারি স্কুলে ভর্তি, শিক্ষক নিয়োগ, বা ফলাফলে প্রভাব ফেলতে অনেক ক্ষেত্রে ঘুষ লেনদেন হতো।

শিক্ষক নিয়োগের সময় ‘মেধার’ চেয়ে ‘লবিং বা টাকা’ বেশি গুরুত্ব পেত — এমন অভিযোগ বহুবার উঠেছে।

৩. শিক্ষকের স্বল্পতা ও প্রশিক্ষণের অভাব:

অনেক বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। একটি বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষককে একাধিক শ্রেণি পড়াতে হয়।

অধিকাংশ শিক্ষকের আধুনিক পাঠদানের কৌশলে প্রশিক্ষণ নেই।

৪. অতিরিক্ত পরীক্ষার চাপ ও মুখস্থনির্ভরতা:

শিক্ষার্থীদের চিন্তাশক্তি, বিশ্লেষণী ক্ষমতা গড়ে ওঠে না।

সৃজনশীল প্রশ্নের ধারণা ভালো হলেও বাস্তবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়ের প্রস্তুতির ঘাটতি ছিল।

৫. গ্রাম ও শহরের শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্য:

শহরের বিদ্যালয় ও কোচিং সেন্টারগুলোতে মানসম্মত শিক্ষাদান হলেও, গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সেই সুযোগ কম।

প্রযুক্তির ব্যবহার, দক্ষ শিক্ষক ও উন্নত পাঠ্যবই গ্রামে অনেকাংশেই অনুপস্থিত।

 

সাম্প্রতিক পরিবর্তন ও সংস্কার প্রচেষ্টা:

ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন ও ফলাফল প্রকাশ:
অনলাইন রেজিস্ট্রেশন, ফলাফল ও আবেদন কার্যক্রম স্বচ্ছতা বাড়িয়েছে।

ক্যারিকুলামে আধুনিকায়ন:
নতুন পাঠ্যক্রমে বাস্তব জীবনের সাথে মিল রেখে শিক্ষাকে মানসম্পন্ন ও ব্যবহারিক করার চেষ্টা চলছে।

প্রশ্ন ফাঁস রোধে কঠোর ব্যবস্থা:
গোয়েন্দা নজরদারি, প্রশ্ন প্রিন্টের সময় নিরাপত্তা, মোবাইল নিষিদ্ধ — এসব পদক্ষেপে প্রশ্ন ফাঁস অনেকটাই কমে এসেছে।

এডুকেশন টেকনোলজি (EdTech):
শিক্ষা অ্যাপ, YouTube ক্লাস, সরকার কর্তৃক “মুক্তপাঠ” প্ল্যাটফর্ম — এগুলো শিক্ষার ধরনে পরিবর্তন এনেছে।

 

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যেমন হওয়া উচিত

১. চিন্তাশীল ও দক্ষ নাগরিক তৈরির উপযোগী

শিক্ষার্থীদের মুখস্থনির্ভরতা থেকে সরিয়ে এনে বিশ্লেষণ, সৃজনশীলতা ও সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা তৈরি করতে হবে।

জ্ঞান কিভাবে কাজে লাগাতে হবে, সেটাই শিক্ষা ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।

২. নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন

ইসলামি মূল্যবোধ, দেশপ্রেম, সততা, সহনশীলতা, সামাজিক দায়িত্ববোধ — এসব গুণাবলি শিক্ষা কার্যক্রমের অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়া উচিত।

শুধু পরীক্ষায় পাশ করলেই চলবে না, মানুষ গড়ার শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

৩. কারিগরি ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা বিস্তার

২১শ শতাব্দীর চাহিদা অনুযায়ী কারিগরি ও ভোকেশনাল ট্রেনিং বাধ্যতামূলক করতে হবে।

প্রাথমিক স্তর থেকেই কম্পিউটার ও ডিজিটাল লিটারেসি শেখানো উচিত।

৪. সমতা ও সুযোগের নিশ্চয়তা

শহর ও গ্রামের শিক্ষার্থীরা যেন একই মানের শিক্ষা পায় — এ জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, পাঠ্যবই ও প্রযুক্তির সমবণ্টন জরুরি।

দরিদ্র ও প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষাসামগ্রী, ইন্টারনেট ও স্কলারশিপ সহজলভ্য করতে হবে।

৫. দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ শিক্ষা প্রশাসন

প্রশ্নফাঁস, ঘুষ দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ, ফলাফল বিকৃতি — এসব চিরতরে দূর করতে হবে।

প্রতিটি স্তরে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি।

৬. আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পাঠ্যক্রম

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যেন বিশ্বমানের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে, সেই অনুযায়ী পাঠ্যক্রম ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ উন্নয়ন করতে হবে।

PISA বা TIMSS জাতীয় আন্তর্জাতিক মূল্যায়নে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিতে হবে।

৭. শিক্ষার্থীবান্ধব ও আনন্দময় শিক্ষা পরিবেশ

স্কুল যেন শিশুর জন্য আতঙ্ক নয়, বরং শেখার আনন্দময় জায়গা হয়।

পাঠ্যক্রমে সাংস্কৃতিক, শারীরিক শিক্ষা, খেলাধুলা, নৈতিক পাঠ থাকতে হবে।

৮. শিক্ষকদের মর্যাদা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি

যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।

প্রশিক্ষণ, উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ ও ভালো বেতনের মাধ্যমে শিক্ষককে পেশার মর্যাদায় উন্নীত করতে হবে।

৯. উন্নত মূল্যায়ন ও পরীক্ষাপদ্ধতি

পরীক্ষাভিত্তিক শিক্ষা থেকে বেরিয়ে এসে প্রকল্প কাজ, সহপাঠ কার্যক্রম, মৌখিক পরীক্ষা চালু করতে হবে।

শিক্ষা অর্জনের মান যাচাই করতে হবে কেবল নম্বর দিয়ে নয়, দক্ষতা দিয়ে।

 

উপসংহার:

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় একদিকে যেমন অগ্রগতি হচ্ছে, অন্যদিকে এখনো অনিয়ম ও বৈষম্য দূর করার অনেক কাজ বাকি।
প্রশ্ন ফাঁস, দুর্নীতি ও মানহীন শিক্ষা ব্যবস্থার বিপরীতে এখন দরকার –

  • দক্ষ ও সৎ প্রশাসন,
  • শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ,
  • প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার,
  • এবং শিক্ষাকে মুখস্থের বাইরে এনে বাস্তব জীবনের সঙ্গে সংযোগ করা।

 

পাঠকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন

🔸 বাংলাদেশে প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ হয়েছে কি?

উত্তর: গত কয়েক বছরে প্রশ্ন ফাঁস অনেক কমেছে, তবে পুরোপুরি নির্মূল হয়নি।

🔸 নতুন পাঠ্যক্রম কার্যকর কি?

উত্তর: ২০২৩ সাল থেকে এটি ধাপে ধাপে চালু হচ্ছে। ফলাফল সম্পর্কে এখনই চূড়ান্ত মন্তব্য দেওয়া যাবে না, তবে ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে।